Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস
বিস্তারিত

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। বাঙালির সবচেয়ে হূদয়বিদারক ও মর্মান্তিক দিন। ৩৭ বছর আগে এই দিনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে হত্যা করেন।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরো প্রাণ হারিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল। খুনিদের বুলেটে সেদিন প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হূদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। আজ জাতীয় শোক দিবস।

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সেদিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুইয়ে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সেদিন যে বীভত্স ঘটনা ঘটেছিল তা স্মৃতিতে আনলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট খুনিও বোধ হয় আঁতকে উঠবে। কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়ে পৈশাচিক পন্থায় ঘাতক দল রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। সেদিন ওই ভবনের প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় পুরো বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে যায়। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে ছিলেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই পড়ে ছিল তাঁর ভাঙ্গা চশমা। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবীর ঠিক মাঝখানে বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের লাশ। লুঙ্গিতে জড়ানো শিশু রাসেলের রক্তভেজা লাশ দেখে খুনিদের প্রতি চরম ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পায় না মানবতাবাদী বিশ্বের কোন মানুষ।

স্বাধীন দেশে কোন বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না- এমন দৃঢ়বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে থাকতেন তাঁর প্রিয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসভবনেই। বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এ বাড়িটি অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন। সেদিন ঘাতকদের মেশিনগানের মুখেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। প্রশ্ন করেছিলেন, 'তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?'

বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষটিকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশ ছিল তিমিরাচ্ছন্ন। দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন স্বাধীনতার শত্রু সেই পুরনো শকুনরা। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন দেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একুশ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি বরখাস্ত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে সংসদ ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়। ১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারপতি কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করেন। বিচারপতি এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিভক্ত রায় প্রদানের ফলে মামলাটি ডেথ রেফারেন্সে ও আপিল শুনানির জন্য দ্বিতীয় বেঞ্চের তৃতীয় বিচারকের কাছে স্থানান্তরের প্রয়োজন দেখা দেয়ায় এর শুনানি উচ্চ আদালতের আরেকটি বেঞ্চে শুরু হয়। একই বছরের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানির পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী আনিসুল হক সুুপ্রিম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামিকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিনেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৬ খুনির মধ্যে ৪ জনের অবস্থান গত ৪ বছরেও নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স। আর দু'জনের অবস্থান নিশ্চিত হলেও আইনি জটিলতায় তাদেরকে ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছেনা। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে ২০০৯ সালে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে প্রধান করে গঠন করা হয় আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স। যে চার খুনির সন্ধান জানা যায়নি তারা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ( অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ( অব.) শরিফুল হক ডালিম, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন। অবস্থান নিশ্চিত হওয়া কানাডায় অবস্থানকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এমএইচবি নুর চৌধুরী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সক্রিয় কূটনৈতিক সাড়া মেলেনি। তাছাড়া কানাডায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকায় নুর চৌধুরীকে হস্তান্তরে দেশটি আগ্রহী নয়। এ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আজ জাতি বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর জন্য শোক জানাবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। সারাদেশে জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত। আজ সরকারি ছুটি। শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করেছে।

সরকারি কর্মসূচি

জাতীয় শোক দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এ সময় বিশেষ মোনাজাত ও কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে সকাল ১০টায় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে, ফাতেহা পাঠসহ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও অস্বচ্ছল দুস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে।

এ দিনটিকে কেন্দ্র করে পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশ'র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

এদিকে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটি পালনের জন্য আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী, ভাতৃপ্রতিমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের তাত্পর্য উল্লেখ করে কবিতা পাঠ, রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, পথনাটক, রক্তদান, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়ার আয়োজন করবে। এ দিন সারা দেশে সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত্বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা আগামী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা।

ডাউনলোড
ছবি
প্রকাশের তারিখ
14/08/2013